আ হ জুবেদঃ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণের ফলে বিশ্বে বাংলাদেশের সুনাম বৃদ্ধি পাচ্ছে, একই সঙ্গে শান্তিরক্ষা মিশন থেকে সরকার বিপুল পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রাও আয় করছে।
এবার শান্তিরক্ষা মিশনে যোগ দেয়া এক সেনা সদস্যের মাধ্যমেই বাংলাদেশীদের সততার বিষয়টিও আলোচনায় এসেছে কুয়েতের সর্বত্রে।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সেনা সরবরাহে তৃতীয় স্থানে বাংলাদেশ।
এ প্রতিষ্ঠানটির হয়ে কুয়েতে যোগ দেয়া শান্তিরক্ষা কর্মী মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন সততার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
গত ২৪শে সেপ্টেম্বর জসিম উদ্দিন কুয়েত সিটির লুলু এক্সচেঞ্জে গিয়ে বাংলাদেশে দুই লাখ টাকা পাঠান।
সেদিন লুলু এক্সচেঞ্জের কাউন্টারে দায়িত্বে থাকা জনৈক কর্মচারীকে জসিম দেশে টাকা পাঠানোর কথা জানান এবং পাশাপাশি টাকা প্রেরক হিসেবে জসিম তার সিভিল আইডি দেন।
একটু পরই জসিম কনফার্মেশন রিসিপ্ট গ্রহণ করেন ও সেটিতে তিনি স্বাক্ষর দেন।
এবার তাকে জিজ্ঞেস করা হয় টাকা পরিশোধ করবেন কীভাবে ক্যাশ না ক্যানেট কার্ড এর মাধ্যমে?
জসিম এক্সচেঞ্জকে জানান ক্যানেট কার্ড এর মাধ্যমে টাকা দেবেন।
জসিম কার্ড প্রদান করেন ক্যানেট মেশিন অপারেটরকে, ওদিকে মেশিন অপারেটর তার কাজ সম্পন্ন করে জসিমকে ক্যানেট কার্ড ফেরত দেন।
এবার জসিম নিশ্চিত হলেন এই ভেবে যে, দেশে টাকা পাঠানোর সকল প্রক্রিয়া এখানেই শেষ।
কিন্তু এদিকে এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষের ক্যানেট কার্ড থেকে কেটে নেয়া টাকার পরিমাণ উল্লেখ করা একটি রিসিপ্ট দেখে থমকে গেলেন জসিম!
কারণ যেখানে জসিমের কার্ড থেকে (বাংলাদেশী দুই লাখ টাকা সমপরিমাণ) কুয়েতী ৭২৫দিনার কেটে নেয়ার কথা, সেখানে মাত্র ১২৫ দিনার কেটে নিয়েছে লুলু এক্সচেঞ্জ।
অর্থাৎ বাংলাদেশী টাকায় প্রায় এক লাখ চল্লিশ হাজার টাকা, কুয়েতী ৫০০ দিনার, ভুলবশত লুলু এক্সচেঞ্জ জসিমের ক্যানেট কার্ড থেকে কেটে নেয়নি।
সেনা সদস্য মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন ফের লুলু এক্সচেঞ্জে গিয়ে ক্যানেট অপারেটরের ভুলের ব্যাপারটি খুলে বলেন।
লুলু এক্সচেঞ্জের কর্তৃপক্ষ সেনা সদস্য মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনের সততা দেখে মুগ্ধ ও অভিভূত হলেন এবং প্রশংসা করলেন জসিম উদ্দিনসহ কুয়েত প্রবাসী বাংলাদেশীদের।